শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৮

শূন্য

তোমার থেকে শুরু সবই,তোমাতেই শেষ;
তবুও তোমার কদর বোঝে না এ মনুষ্যবেশ৷
শূন্য পাতা না হলে যে যায় না তাতে লেখা—
আবার নিঃস্ব হলে এ মন আঁকে তোমার রূপরেখা!
গণিত বলে, একা তোমার নেই কোনো মান;
অথচ;তুমিই কারো পাশে বসে বাড়াও তার সন্মান!
সবাই ভাবে,"শূন্য"; বড়ই তুমি ক্ষীন৷
বোঝেনা এ রঙীন মন একদিন তোমাতেই হবে সবকিছু বিলীন৷
ছোট্ট শিশু তোমায় আঁকে, নিজের থেকে,পেন-খাতাটি পেলে;
আমরা এত বড় হয়েও,তখন তোমায় ডাকি কেবল "গোল্লা" বলে!
আসে না মনে এ প্রশ্ন,"ছোট্ট শিশু তোমায় জানল কেমন করে?"
কত শত বর্ণ আছে,অক্ষর আছে,চিহ্ন আছে এ ভুবনজুড়ে,
তবে সবাইকে ফেলে নির্বোধ প্রান আঁকে কেন তোমায় পাতা ভরে ?
এ কি তবে তোমারই টান;তোমারই দেওয়া বার্তা ?
যা নিয়ে কখনও ভাবে না এ পাকামাথার স্নায়ুকর্তা ৷
'শূন্য'—তুমি আদিতেও ছিলে,অন্তেও আছো তুমি৷
শুধু এই আদি-অন্তের মাঝে লোভ,লালসা,হিংসাকে নিয়ে আমরা করি হ্যাংলামি৷
শূন্য হৃদয় খোঁজে বাসা,ব্যাথাতুর খোঁজে শূন্যকোন —
যেখানে অগোচরে ভিজবে তার দুনয়ন!
কখনওবা করি তোমাকেই আপন করে সবকিছু ছিন্ন—
আবার কখনও তুমিই এ প্রানকে করো বিষাদ-বিষন্ন৷
এ বিশ্বচরাচরে চিরসত্যের আর নেই স্থান তুমি ভিন্ন,
আর তাই বুঝি এ ধরনীর বাইরে তুমিই হলে "মহাশূন্য"৷

৪টি মন্তব্য: